পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি বেড়ে যাচ্ছে, দিন কিছুটা ছোট হচ্ছে: বিজ্ঞানীদের নতুন তথ্য
বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, পৃথিবীর ঘূর্ণন ক্রমেই একটু দ্রুত হয়ে উঠছে। এর ফলে দিনের দৈর্ঘ্যও সামান্য কমে যাচ্ছে। যদিও এই পরিবর্তন খুব ছোট—মাত্র মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশ—তবুও এটি সময় গণনা এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
২০২২ সালের ২৯ জুন পৃথিবী ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড কম সময়ে নিজের অক্ষে ঘূর্ণন সম্পন্ন করেছে। এটিই ছিল মানুষের রেকর্ড করা ইতিহাসের সবচেয়ে ছোট দিন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর ভেতরের গঠন পরিবর্তন, যেমন গলিত লোহা ও অন্যান্য পদার্থের সঞ্চালন, ভূমিকম্প এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই ধরনের গতি পরিবর্তন হতে পারে।
পৃথিবীর ঘূর্ণনের এই সামান্য ত্বরান্বিত হওয়া যদিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তেমন কোনো বড় প্রভাব ফেলে না, তবে স্যাটেলাইট, জিপিএস সিস্টেম এবং বিশ্বের সময় গণনার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য কখনও কখনও ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ বা বাদ দেওয়া লাগে, যাতে সময় সঠিক থাকে।
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এই ধরণের পরিবর্তন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। অতীতে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি কখনও কমেছে, কখনও বেড়েছে। তবে বর্তমান পর্যবেক্ষণগুলো দেখাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা দ্রুত ঘুরছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এই সময়ের পার্থক্য সাধারণ মানুষের অনুভবের বাইরে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যের প্রয়োজন হতে পারে।
এখনও এই বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা চলছে, যাতে পৃথিবীর ঘূর্ণনের এই নতুন ধারা এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাব আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।

